বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো জেনে নিন।

প্রিয় পাঠক, বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে আপনি এই আর্টিকেলের ভেতরে এসেছেন? তাহলে ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথে থাকুন।কেননা আমরা আজ আলোচনা করব বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ সম্পর্কে এবং বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়, বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ স্কয়ার,বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপের নাম,ছয় মাসের বাচ্চার ঠান্ডা কাশি হলে করণীয় কি এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত। আপনি যদি এ সকল বিষয়ে পেতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি জুড়ে থাকুন।

ভূমিকা: বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো

প্রত্যেক অভিভাবকদেরই বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক চিন্তা থাকে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ থাকে না। ছোট বাচ্চাদের কমন একটি সমস্যা সেটা হলো সর্দি কাশি সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে অনেকে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে থাকেন। তাতেও যখন কাজ হয় না তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন অথবা বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করে থাকেন বাচ্চাদের জন্য ভালো সর্দি কাশির সিরাপ কোনটি সে সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ শিশুদের জিংক সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত। 
প্রিয় পাঠক, বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটি ভালো সে সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়:

ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশির সমস্যা একটি কমন বিষয়। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের এবং জন্মের কয়েক মাস পর থেকে সর্দি কাশি সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ সময় বাচ্চাদেরকে সরাসরি ওষুধ না দিয়ে ঘরোয়া কিছু উপায়ে আপনি বাচ্চার ঠান্ডা সমস্যা কমাতে পারেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ঘরোয়া ভাবে ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর উপায় গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

আদা ও মধুর ব্যবহার:
ঠান্ডা কাশি সমস্যায় মধু এবং আদা বেশ কার্যকরী দুটি উপাদান। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে সর্দি কাশির সমস্যায় প্রতিদিন বাচ্চাকে এক চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে সর্দি কাশির সর্বোচ্চ কমবে। তাছাড়া আদার রস ও মধু দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন।কয়েক চামচ মধু ও কয়েক চামচ আদার রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। এরপর নিয়মিত দিনে দুইবার এক চামচ করে খাইয়ে দিন। ঠান্ডা কাশি কমে যাবে।

লেবু মধুর ব্যবহার:
বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমাতে লেবু ও মধু দুটোই খুব উপকারী।হালকা গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ মধুর রশ মিশিয়ে বাচ্চাকে খাইয়ে দিন। এটি ৬ মাস বয়সের বেশি বাচ্চাদের জন্য দেওয়া যেতে পারে।

সরিষার তেল, রসুন ও কালোজিরার ব্যবহার:
একটি পাত্রে সরিষার তেল নিন এতে দুই কোয়া রসুন থেঁত করে এক চামচ কালিজিরা দিয়ে একটু হালকা তাপে তেলটি গরম করে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে বাচ্চার বুকে এই তেল ভালোভাবে মালিশ করে দিন। এটি সর্দি কাশি হতে সমাধান পেতে খুব ভালো একটি ঘরোয়া টোটকা।

গরম খাবার ও গরম পানির ব্যবহার:
যখন বাচ্চারা ঠান্ডা জড়িত সমস্যায় ভোগেন তখন সব সময় বাচ্চাদের গরম খাবার এবং হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত। এমনকি গরম পানিতে লবণ দিয়ে সেই পানি গরগিল করালে বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি থেকে আরাম পায়। সর্দি কাশি অবস্থায় বাচ্চাদের তৈরি গরম সুপ খাওয়াতে পারেন। এবং প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিন।

তুলসী পাতা ও মধুর ব্যবহার:
আমরা প্রায় সকলের তুলসী পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানি। বিশেষ করে সর্দি কাশি সমস্যার সমাধানে তুলসী পাতার কোন বিকল্প নেই। ৮-১০ টি তুলসী পাতা গাছ থেকে তুলে নিন এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ছেচে রস বানিয়ে নিন। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ তুলসীপাতার রস মিলিয়ে দিনে দুইবার বাচ্চাকে খাইয়ে দিন। তুলসী ও মধুর ব্যবহার আপনার শিশুর সর্দির কাশির উপশম দিতে পারে।

প্রিয় পাঠক, বাচ্চাদের সর্দি কাশির সমস্যা হলে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করুন। এ সকল উপায়ে যদি আপনার শিশুর ঠান্ডা কাশি সমস্যা না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করান।এতক্ষণে নিশ্চয় বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। এবার আসুন, বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো :

শীতকাল অথবা আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সময় সাধারণত বাচ্চারা সর্দি কাশি সমস্যায় পড়েন। এ সময় বাচ্চাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা সহ ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের কাশি থেকে রক্ষা পেতে তখন অভিভাবকরা কাশির সিরাপ কোনটি ভালো সে বিষয়ে জানতে চান। বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে যাতে আমাদের সাথে থাকুন।
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো
বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যা বাচ্চাদের কাশি উপশমের সাহায্য করে।তবে ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চার কাশি কমানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বাচ্চাদের কাশির সিরাপ সব থেকে ভালো কোনটা এটা বলা আসলে সম্ভব নয়। তবে অনেক সিরাপ রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের কাশির জন্য খুব ভালো কাজ করে। এখন আসুন,বাচ্চাদের কয়েকটি ভালো কাশির সিরাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Adovas-এডোভাস:
কাশির সিরাপের মধ্যে স্কয়ার কোম্পানির এডোভাস সিরাপটি বেশ কার্যকরী। ডাক্তাররা সচরাচর এই ওষুধ সেবনের কথা বলে থাকেন। শিশু থেকে বড় সবাই এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। সাধারণত ১০০ ml সিরাপ এর দাম ৬৫ টাকা এবং ২০০ ml সিরাপ এর দাম ১০৫ টাকাহয়ে থাকে।

Abex -এবেক্স:
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড হতে উৎপাদিত এই এবেক্স সিরাপটি খুবই সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যায়। ১০০ ml এই সিরাপটির বর্তমান বাজার মূল্য ৩৫ টাকা। বাচ্চাদের কাশির সমস্যা সমাধানে আপনি এই সিরাপটি করতে পারেন।

Ambrox- এমব্রক্স:
শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী কাশি নিরাময়ে এমব্রক্স সিরাপটি দিতে পারেন। স্কয়ার কোম্পানির আরেকটি ঔষধ এই এমব্রক্স সিরাপ ১০০ ml এর দাম ৫০ টাকা।

Tofen-টোফেন:
বিশেষ করে বাচ্চাদের কাশির জন্য টোফেন সিরাপ বেশ জনপ্রিয়। বেক্সিমকো কোম্পানির টোফেন সিরাপটি ছোট শিশুদের স্বাভাবিক কাশির জন্য খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই সিরাপ খেলে বাচ্চাদের আরামদায়ক ঘুম হয়।

E-cof plus-ই-কফ প্লাস:
ই -কপ প্লাস সিরাপটি আমাদের অনেকেরই বেশ পরিচিত। এডরুক ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর এই সিরাপটির ১০০ ml মূল্য মাত্র ৫০ টাকা।

Adolef- এডোলেফ:
অপসোনিন কোম্পানির এডোলেফ সিরাপটি হারবাল জাতীয় ঔষধ। এই ঔষধ দুইটি বোতলে পাওয়া যায়। একটি হলো ১০০ ml এর দাম ৬৫ টাকা এবং আরেকটি ২০০ ml এর দাম ১০৫ টাকা। এই সিরাপটি খাওয়ালে বাচ্চাদের বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে আসতে সাহায্য করে।

Tuscs plus-তুসকা প্লাস:
স্কয়ার কোম্পানির আরেকটি জনপ্রিয় কাশির ঔষুধের নাম তুসকা প্লাস। সাধারণত বাচ্চাদের শুষ্ক কাশি নিরাময়ে এই সিরাপ বেশ কার্যকরী। ছোট থেকে বড় সবাই এই তুসকা প্লাস সিরাপটি সেবন করতে পারবেন। ১০০ ml তুসকা প্লাস সিরাপটির বাজার মূল্য ৬৫ টাকা।

Madhuvad-মধুভাস:
ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল উৎপাদিত মধুভাস সিরাপটি বাচ্চাদের নরমাল কাশি এবং শুষ্ক কাশি নিরাময় আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এশিয়ার টি এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনি ফলাফল বুঝতে পারবেন। ১০০ ml মধুভাস সিরাপের মূল্য ৯০ টাকা।

Remocof-রিমোকফ:
ইনসেপ্টা কোম্পানির রিমোকফ সিরাপটি শিশুদের কাশি নিরাময়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এই সিরাপটির ১০০ ml ওষুধের মূল্য ৬৫ টাকা।

প্রিয় পাঠক,এ সকল ওষুধের মধ্যে যেকোনো একটি আপনি আপনার শিশুর কাশি নিরাময়ের জন্য খাওয়াতে পারেন। এই ওষুধগুলো সঠিক ডোজ ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধই শিশুকে খাওয়ানো ঠিক নয়।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ স্কয়ার :

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির ঔষধ এর উপর মানুষের একটি আস্থা রয়েছে। বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ স্কয়ার সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। বিশেষ করে বাচ্চাদের সর্দি কাশির জন্য স্কয়ার কোম্পানির যে সকল ঔষধ সচরাচর শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার মধ্যে কয়েকটি সিরাপ এর নাম হলঃ
  • অ্যাডভাস- Adovas syrup
  • তুসকা প্লাস- Tusca plus syrup
  • এমব্রক্স সিরাপ- Ambrox syrup
  • মিরাকফ-Miracof syrup
এ সকল সিরাপ সাধারণত স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি থেকে তৈরি হয়ে থাকে। যদি আপনার বাচ্চার সর্দি কাশি সমস্যায় এ সমস্ত ওষুধ খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন।

বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপের নাম :

কাশি সাধারণত দুই ধরনের হয় একটি হলো শুকনো কাশি আর একটি হল প্লেষ্মা কাশি। শুকনো কাশি যাতে প্লেষ্মা বা কফ থাকেনা। এই কাশি হলে বাচ্চারা অনেক জোরে জোরে কাশি দেয়। কাশিতে আওয়াজ বেশি থাকে। বিশেষ করে বাচ্চার ঘুমের সময় এবং যখন বাচ্চা গরম আবহাওয়া বা ঘরে থাকে সে সময় এই কাশি বেশি হয়।

শুকনো কাশি শিশুদের অত্যন্ত অস্বস্তিক ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। সাধারণত ঠান্ডা লাগলে এই কাশি হয়ে থাকে। পরিবেশগত কারণেও হয়ে থাকে। যেমন: সিগারেট বা অন্য কিছু ধোঁয়া, অত্যন্ত গরম আবহাওয়া, তীব্র রাসায়নিকের গন্ধ ইত্যাদি। তাছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হুপিং কাশির লক্ষণ হিসেবে শুকনো কাশি হয়ে থাকে।
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো
তাই শিশুদের শুকনো কাশিতে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। আমরা অনেকেই বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপ সম্পর্কে জানতে চায়। বাচ্চাদের শুকনো কাশি নিরাময়ে যে সকল সিরাপ ভালো কাজ করে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

তুসকা প্লাস:
আমরা কম বেশি সবাই জানি শুষ্ক কাশিতে তুসকা সিরাপ অন্যতম। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, শুষ্ক কাশি, বুকে জমে যাওয়া কপ তুলে ফেলতে তুসকা সিরাপ ব্যবহার করা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে তুসকা সিরাপ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তুলসী সিরাপ:
শুষ্ক কাশি, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, এলার্জি জনিত কাশি এবং খুসখুসে কাশিতে তুলসী সিরাপ খুব ভালো কাজ করে। বাচ্চাদের শুষ্ক কাশি হলে আপনি তুলসী সিরাপ দিতে পারেন। সব থেকে ভালো হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং সঠিক পরিমাণ জেনে তারপর তুলসী সিরাপ খাওয়ানো।

মিরাকফ:
মিরাকফ সিরাপটি স্কয়ার গ্রুপের একটি ঔষধ। এটি সাধারণত ছোট বাচ্চাদের শুষ্ক কাশিতে বেশ ভালো কাজ করে। ভাইরাল ইনফেকশনের অথবা যেকোনো কারণে শুষ্ক কাশি হলে তা নিরাময়ে মিরাকফ সিরাপটি বেশ উপকারী। বাচ্চাদেরকে নিরাপদ সিরাপ সেবনের পূর্বে খাওয়ার নিয়ম ও ডোজ সম্পর্কে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে উচিত।

ছয় মাসের বাচ্চার ঠান্ডা কাশি হলে করণীয় কি :

নবজাতক থেকে শুরু করে ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি সমস্যা লেগেই থাকে। এই সময় বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া উচিত। ছয় মাসের বাচ্চার ঠান্ডা কাশি হলে আপনি যে সকল কাজ করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
  • সাধারণত শীতকালে শিশুরা সর্দি কাশি সমস্যা বেশি হয়।এ সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো এবং ঘর গরম থাকে।
  • বাচ্চাকে গরম জামা কাপড় পরিয়ে রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন।
  • শিশুর সর্দি-কাশির সমস্যা হলে একদিন পরপর বা প্রতিদিন কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।
  • ঠান্ডা কাশি সমস্যা হলে বাচ্চাদের পানি শূন্যতা হতে পারে। এইজন্য এ সময় ঘনঘন বুকের দুধ পান করান।
  • সর্দির জন্য বাচ্চার নাক যেন বন্ধ না হয়ে যায় এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • এ সময় বাচ্চাকে মধু খাওয়ালে সর্দি কাশির সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যায়।তাছাড়া তুলসী পাতার রস এবং লেবুর রস মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
  • তাছাড়া ভিটামিন সি যুক্ত ফল বা ফলের রস করে বাচ্চাকে খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি সমস্যায় সরিষার তেল এর সঙ্গে রসুন এবং কালোজিরা দিয়ে হালকা তাপে সেই তেল গরম করে বুকে মালিশ করলে সর্দি কাশির সমস্যা অনেকটা কমে যায়।

লেখকের মন্তব্য :বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো

প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা অবগত হতে পেরেছেন বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো সে সম্পর্কে। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং বাচ্চাদের শুকনো কাশির সিরাপের নাম সহ ছয় মাসের বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে ও আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। এবং আপনার বিশেষ কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আর ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url