ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন

ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন সে সম্পর্কে আপনাদের অনেকে জানতে চান। আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া অনুরোধ রইল।
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাছাড়া এখানে আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং কি, ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার, ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার, ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য, ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যৎ, ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আলোচনা করেছি।

ক্লাউড কম্পিউটিং কি:

বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে ক্লাউড কম্পিউটিং একটি অপরিহার্য অংশ। ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার পরিষেবা ব্যবহার করা। এটি ব্যবহারকারীদেরকে নিজস্ব অন ডিমান্ডে কম্পিউটার রিসোর্স প্রদান করে। আগে কাজের জন্য আমাদেরকে কম্পিউটারে অনেক সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হতো। কিন্তু এখন সেগুলো আপনি দূরবর্তী ইন্টারনেট সার্ভার থেকে ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই জন্যই ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয়। এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। 

ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার:

আপনারা অনেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান। ক্লাউড কম্পিউটিং প্রধানত তিন প্রকার। নিচে পরিষেবা মডেল অনুযায়ী অর্থাৎ ব্যবহারকারী ক্লাউট থেকে কি ধরনের পরিষেবা নিচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
(Infrastructure as a service) -অবকাঠামো সেবা
এটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর সবচেয়ে মৌলিক ধরন যা ব্যবহারকারী নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাড়া নেয় এবং ইচ্ছামত হার্ডওয্যার রিসোর্স ব্যবহার করে।কিন্তু সফটওয়্যার ও এপ্লিকেশন ব্যবহারকারীকেই তৈরি করতে হবে। যেমন Microsoft AzureAmazon, Web Service, Google Could Platform।

(Platform as a service) -প্ল্যাটফর্ম সেবা
এটি এমন একটি সার্ভিস যেখানে শুধুমাত্র হার্ডওয়ার নয়, সফটওয়্যার তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় ডাটাবেজ, টুলস, নেটওয়ার্ক, সবকিছু একসঙ্গে পাওয়া যায়। ডেভলপাররা কোডিং করে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে সার্ভার সেটাপ বা হার্ডওয়ার নিয়ে এখানে চিন্তা করতে হয় না। যেমন, Heroku,Google App Engine।

(Software as a service)-সফটওয়্যার সেবা:
এখানে রেডিমেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় ইনস্টলেশন বা মেইনটিনেন্সের ঝামেলা নেই। যেমন,Dropbox,Google docs,Gmail ইত্যাদি।

এছাড়াও বাস্তবায়ন মডেল অনুযায়ী ক্লাউড কতভাবে ব্যবহৃত হতে পারে বা স্থাপিত হতে পারে তার উপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটিং কে চার ভাগে ভাগ করা হয়।
  • Public Cloud (পাবলিক ক্লাউড)
  • private Cloud (প্রাইভেট ক্লাউড)
  • Hybrid Cloud (হাইব্রিড ক্লাউড)
  • Community Cloud (কমিউনিটি ক্লাউড)

ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন:

বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে। সহজ কথায় বলতে গেলে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করার কারণ হলো খরচ কমানো, নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করা ইত্যাদি। ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করার কয়েকটি বিশেষ কারণ যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন

  • ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কম খরচে উন্নত প্রযুক্তি সেবা পাওয়া যায়।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার অনুযায়ী খরচ হওয়ায় ব্যবসা পরিচালনায় ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়ে থাকে।
  • প্রয়োজন বাড়লে ক্লাউড রিসোর্স বাড়ানো যায় এবং কমলে রিসোর্স কমানো যায় এটি একটি বিশাল সুবিধা।
  • শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে ডাটা বা অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস হওয়া যায়।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং এ রিমোট ওয়ার্ক বা দূরবর্তী সার্ভিস স্টেশন থেকে কাজ করা সহজ হয়। হলে কর্মচারীদের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে।
  • ক্লাউডের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি অতি সহজে একসঙ্গে ফাইল বা প্রজেক্টে কাজ করতে পারে ও শেয়ার করতে পারে।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং এ ডেটা নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ সুবিধা থাকায় তথ্য হারানোর ঝুঁকি থাকে না।
  • ক্লাউড সেবায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ও সিস্টেম আপডেট হয়।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং একটি পরিবেশবান্ধব( eco- friendly ) এবং শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে বহুজন একসঙ্গে ব্যবহার করে পরিবেশের উপর চাপ কমানো সম্ভব হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার :

প্রিয় পাঠক, আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন যা আপনারা উপরোক্ত আলোচনায় জানতে পেরেছেন।  বর্তমানে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বহুমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে। নিচে কাল কম্পেটিং এর বেশ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

১.বিগ ডেটা স্টোরেজ (Storage)
ডেটা সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড স্টোরেজ (যেমন: Google Drive, Dropbox, iCloud)।
২. সফটওয়্যার সার্ভিস (SaaS - Software as a Service)
ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার (যেমন: Google Workspace, Microsoft 365, Salesforce)।
ব্যবহারকারীদের সরাসরি সফটওয়্যার ইনস্টল ছাড়াই অ্যাক্সেস দেওয়া।
৩. ওয়েব হোস্টিং ও ডেভেলপমেন্ট
ক্লাউড সার্ভারে ওয়েবসাইট হোস্টিং (যেমন: AWS, Azure, Google Cloud)। ডেভেলপারদের জন্য টেস্টিং ও ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্টে কাজ করা সহজ হয়।
৪. ডেটা অ্যানালিটিক্স ও বিগ ডেটা
ক্লাউডে বিশাল ডেটা প্রসেসিং ও মেশিন লার্নিং মডেল চালানো টুলস যেমন: Google Big Query, AWS Redshift।
৫. ডিজাস্টার রিকভারি ও ব্যাকআপ
অটোমেটেড ডেটা ব্যাকআপ এবং ইমার্জেন্সি রিকভারি সলিউশন।ব্যবসায়ের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস নিশ্চিত করা।
৬. ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ও রিমোট ওয়ার্কিং
ক্লাউড-ভিত্তিক ভার্চুয়াল মেশিন (VM) ব্যবহার (যেমন: Azure Virtual Desktop)।রিমোট ওয়ার্কারদের জন্য সিকিউর অ্যাক্সেস।
৭. স্কেলেবিলিটি ও ফ্লেক্সিবিলিটি প্রয়োজন অনুযায়ী রিসোর্স স্কেল আপ/ডাউন করা (যেমন: AWS Auto Scaling)।পেই-অ্যাস-ইউ-গো মডেলে খরচ কমানো।
৮. গেমিং ও স্ট্রিমিং ক্লাউড গেমিং প্ল্যাটফর্ম (যেমন: NVIDIA GeForce Now, Xbox Cloud Gaming)।ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস (যেমন: Netflix, YouTube)।
৯. IoT (ইন্টারনেট অব থিংস) ক্লাউডে IoT ডিভাইসের ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ।স্মার্ট হোম, হেলথ মোনিটরিং ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
১০. এআই ও মেশিন লার্নিং ক্লাউড-ভিত্তিক AI টুল (যেমন: Google AI, AWS Sage Maker) ব্যবহৃত হয়।
১১.স্বাস্থ্য সেবা ও টেলি মেডিসিন ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
১২.শিক্ষা ও অনলাইন সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার।
১৩.ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার।
১৪.ডিভাইস সংযোগ ও ব্যবহার।
১৫.সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য প্রি-ট্রেন্ড মডেল হিসেবে ব্যবহার।

ক্লাউড কম্পিউটিং আধুনিক প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যা ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়িক সিস্টেমে কাজে লাগছে।ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করে ব্যবহারকারীরা কম খরচে ব্যবসা, চাকুরী বা বড় বড় প্রতিষ্ঠানে লাভবান হচ্ছেন। আশা করি, ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। 

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ভবিষ্যৎ :

ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিদ্যমান। ক্লাউড কম্পিউটিং ভবিষ্যতে আরো অটোমেটেড, ইন্টেলিজেন্ট এবং অ্যাক্সিসেবল হবে। সার্ভার লেস কমপিউটিং এর বিস্তার হবে। গ্রীন ক্লাউড ও সাসটেইনেবিলিটি বাড়বে যাতে করে google এবং microsoft এর মত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনরকম রিচার্জেবল খরচ ছাড়াই পরিচালিত হবে।

উন্নত সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসিমেন্টেনট করা হবে। ফাইভজিও ক্লাউড কম্পিউটিং কাজের ভেতর সমন্বয় সাধন করা হবে যেটা সবচেয়ে বড় সফলতা হবে। ডেমোক্রেটাইজেশন অফ টেকনোলজি, যাতে বড় বড় ডেটা এবং প্রযুক্তিগুলো ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান সহজে ব্যবহার করতে পারবে।

নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা আরো উন্নত হবে ডেটা চুরির কোন সম্ভাবনা থাকবে না,ব্যক্তিগত প্রাইভেসি রক্ষা করা সহজ হবে।সব কাজে ডিজিটাল রূপান্তর হবে সেখানে ফাইভ-জি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।ব্যক্তিগত ও ছোট ব্যবসার জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং আরো সহজলভ্য হবে।

গ্রিন ক্লাউড বা পরিবেশবান্ধব কম্পিউটিং এর ব্যবহার বাড়বে যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হবে। সর্বোপরি সামনের দিনগুলোতে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার এবং বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী নব দিগন্তের সূচনা করবে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য:

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বর্তমানে ক্লাউড কম্পিউটিং একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ,প্রক্রিয়াকরণ ও প্রবাহের আধুনিক একটি পদ্ধতির নামই হল ক্লাউড কম্পিউটিং।ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন জানতে চাইলে ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগে জানতে হবে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন

  • এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ব্যবহারকারী যখন ইচ্ছা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভার, স্টোরেজ বা সফটওয়্যার সেবা নিতে পারবেন।
  • শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ক্লাউড সেবা ল্যাপটপ, মোবাইল বা ডেক্সটপ থেকে ব্যবহার করা যায় এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং লাভজনক।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে একই সঙ্গে অনেক ব্যবহারকারী সার্ভার, স্টোরেজ বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে এটি খরচ কমায় এবং সাশ্রয়ী।
  • ঠিক যতটুকু একজন ব্যবহারকারীর রিসোর্স ব্যবহার প্রয়োজন ততটুকুই তাকে মূল্য দিতে হয়। এটি এক ধরনের বিদ্যুৎ বিল এর মত। যত ব্যবহার, তত খরচ (Pay as you go) ।
  • ক্লাউড কম্পিউটিং এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল ডেটা ব্যাকআপ ও পুনরুদ্ধারের সুবিধা থাকে এবং হার্ডড্রাইভ নষ্ট হলেও তথ্য কিন্তু নিরাপদে থাকে।
  • এর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ব্যবহারকারীর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনে।
  • একজন ব্যবহারকারী যে কোন মুহূর্তে দূরবর্তী জায়গা থেকে ফাইল ও অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা:

প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন কিছু অসুবিধা রয়েছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ক্লাউড কম্পিউটিং যেমন আমাদের অনেক উপকারে আসে তেমনি এর কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা সমূহ নিজে আলোচনা করা হলোঃ
  • ক্লাউড কম্পিউটিং এ বেশ কিছু অসুবিধা আছে। যেমন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়বে, যা অর্থনৈতিক চাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।হিডেন কস্ট বেড়ে যেতে পারে।
  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সবসময় বজায় নাও থাকতে পারে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ক্ষেত্রে যা বড় ধরনের ঝুঁকি।
  • পরিবেশগত প্রভাব পুরনো হার্ডওয়ার বা হার্ডিকস গুলি ই-বর্জ্যে রূপান্তরিত হবে, ক্লাউড সেন্টারগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তির অপচয় করবে।
  • বড় ডেটা সংরক্ষণ বা স্থানান্তরে সমস্যা দেখা দিবে যেমন ডাটা ফরমেটিং এবং প্রসেসিংএ ধীরগতি সম্পন্ন হবে।
  • দক্ষতা অভাব ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে, আবার ক্লাউড কম্পিউটিং এর ম্যানেজমেন্ট কিছুটা জটিল হতে পারে।
  • কমপ্লায়েন্স এবং আইনি সমস্যা বড় ধরনের ঝামেলা তৈরি করতে পারে।
  • সেবা সরবরাহকারীর উপর নির্ভরতা, বিশ্বস্ত সেবা সরবরাহকারী পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেক সময় সেবা সরবরাহকারী ব্যবসা বন্ধ করে দিলে সেবা গ্রহীতা জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
  • সেবা ব্যবহারকারী প্রাপ্য সেবার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না, সার্ভিস প্রোভাইডারের উপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়।
  • ডাউন টাইম এবং পারফরম্যান্স গত সমস্যা যা অনেক সময় জটিল রাখার ধারণ করতে পারে কারণ সার্ভার অনেক সময় যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে ডাউন হয়, ফলে সমস্ত প্রক্রিয়াই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় চলে যায়, যা সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পারফরমেন্সগত সমস্যায় ফেলে দেয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন উত্তর ( FAQ):

১. ক্লাউড কম্পিউটিং কি?

উত্তর : ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারী ডেটা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিচালনা করে থাকেন এটাই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।সরাসরি সার্ভার ছাড়াই একজন ব্যবহারকারী সফটওয়্যার এবং পরিষেবা ব্যবহার করতে পারেন।

২. প্রশ্ন : ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ কি হতে পারে?

উত্তর : ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ Google Drive,Dropbox,Microsoft One Drive,Amazon Web Service,Zoom ইত্যাদি।

৩. প্রশ্ন : ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান ধরন গুলো কি কি?

উত্তর : প্রধানত ক্লাউড কম্পিউটিং তিন ধরনের হয়ে থাকে সেগুলো হল
  • IaaS (Infrastructure as a Serv
  • PaaS (Platform as a Service)
  • SaaS (Softwere as a Service)
৪. প্রশ্ন : ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান সুবিধা গুলো কি কি?

উত্তর : ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান সুবিধা গুলো হলো যে কোন জায়গা থেকে অ্যাক্সেস, কম খরচ, স্বয়ংক্রিয় আপডেট,স্কেলেবিলিটি, ডেটা ব্যাকআপ এবং নিরাপত্তা ইত্যাদি।

৫.প্রশ্ন : ক্লাউড কম্পিউটিং কি নিরাপদ?

উত্তর : মেক্সিমাম ক্লাউড সেবা নিরাপত্তার জন্য মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এবং নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট ব্যবহার করে।নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যারা ব্যবহারকারী রয়েছি তাদেরও সচেতন থাকতে হয়।

৬. প্রশ্ন :ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট থাকা কি অবশ্য?

উত্তর : জি, অবশ্যই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। কেননা এখানে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

৭. প্রশ্ন : ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাহায্যে কি কি কাজ করা হয়?

উত্তর : ক্লাউড সেবার মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ, সফটওয়্যার চালানো, ইমেইল পরিচালনা, ভিডিও কনফারেন্স, ওয়েবসাইট হোস্টিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সহ আরো নানান কাজ করা যায়।

লেখক এর মন্তব্য : ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা অবগত হতে পেরেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন সে সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীদের সুবিধা এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় এর ব্যাপকতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাবতীয় পরিষেবা পাওয়ায় ব্যবহারকারীরা ক্লাউড কম্পিউটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। 

আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরে থাকেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন। তাছাড়া কোন বিশেষ মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url