গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন, যত্ন ও বুকে ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই দেহ স্তনকে শিশুকে দুধ পান করানোর জন্য প্রস্তুত করতে থাকে। এজন্য গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন চোখে পড়ে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন কি ধরনের হয়, গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথার কারণ, গর্ভাবস্থায় কখন বুকে দুধ আসে এবং গর্ভাবস্থায় স্তনের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ইনশাআল্লাহ।
গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথার কারণ
শিশু জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত তার যাবতীয় পুষ্টি মায়ের বুকের দুধ থেকে পায়। ফলে পুরো গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন বিভিন্ন ভাবে লক্ষ্য করা যায়।

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন অনেকগুলো কারনে দেখা দিতে পারে। সবার ক্ষেত্রে যে একই রকম পরিবর্তন হবে এমনটি নয়। আর এসব পরিবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। গর্ভাবস্থায় এই কারণগুলো স্বাভাবিক। যা প্রায় প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এই সময় স্তনে ধীরে ধীরে দুধ জমতে থাকে।
তাই এই পরিবতর্নগুলো হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই স্তনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এ সময় স্তনের স্নেহ গ্রন্থিগুলো ক্রমশ পুরু হতে থাকে। এছাড়া স্তনের দুগ্ধ গ্রন্থিতে অতিরিক্ত রক্ত যোগ হয়। এ সময় স্তনের চামড়ার নিচের শিরা উপশিরা গুলো বাইরে থেকে দৃশ্যমান হয়। তাই এই সাধারন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই স্তনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন এটি একটি হরমোনের পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে। এগুলো হয় সন্তান যাতে কোন কষ্ট ছাড়া সহজেই স্তন হতে দুধ পায়। গর্ভাবস্থার স্তনের যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায় তা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন
স্তনে ব্যথা বা চাপ লাগা: গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তনের একটি অন্যতম লক্ষণ হলো স্তনে ব্যথা অনুভূত হওয়া। অনেকের ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার আগেও স্তনে ব্যথা অনুভূত হয়। তাই অনেকেই গর্ভধারণের লক্ষণ হিসেবে এটা বুঝতে পারেন না। গর্ভাবস্থায় স্তনের ব্যথা এক এক জনার একেক রকম হতে পারে যেমন-
  • স্তন ভারী হয়ে যাওয়া বা চাপ চাপ অনুভূত হওয়া।
  • স্তনে টনে টনে ব্যথা লাগা এবং শির শির অনুভূত হওয়া।
  • খুব তীক্ষ্ণ ব্যথা হওয়া।
  • স্তন পুরোটা জুড়ে ভোতা রকমের ব্যথা অনুভূত হওয়া।
ব্যথার তীব্রতা কমবেশি হয়ে থাকে। এ সময় স্তনে হাত পড়লেই ব্যথা অনুভূত হয়। এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। তবে ব্যাথার ধরন আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিপল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় এসময় নিপল আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়। গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের প্রভাবে শরীরের অন্যান্য স্থানের মত নিপলে ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে স্তনের ব্যথা ও নিপলে ব্যথা অনুভূত হয়।

নিপলের আশেপাশের রং গারো হতে থাকে। এই গাড় হওয়া জায়গাকে আড়িওয়ালা বলে। নিপলের আশেপাশে ছোট ছোট দানা বা বিচির মত দেখা যেতে পারে। এগুলো মূলত স্তনের ভোটার আশেপাশে এক ধরনের গ্রন্থির ফুলে ওঠার অংশ। এটা দেখে চিন্তার কোন কারণ নেই। এই দানা বা বিচিগুলো গলিয়ে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।

স্তনের আকার বড় হওয়া: গর্ভাবস্থায় শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকে স্তনের আকারের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শিশু জন্মের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এ সময়ে স্টনে ফ্যাট বা চর্বি জমা হতে থাকে। এছাড়াও টনের ভিতরে দুধ তৈরি হওয়ার নালিকাগুলো প্রশস্ত হতে থাকে। যার দরুন এই সময় স্তনের আকার বড় দেখায়।
নিপল এবং এর আশেপাশে চুলকানি: গর্ভাবস্থায় স্তন এবং স্তনের আশেপাশে চুলকানি হতে পারে হরমোনের তারতম্যের কারণে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় স্তনের আকার বাড়ার সাথে সাথে ত্বক ও টানটান হয়ে যায়। এতে করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং স্তন ও নিপলে চুলকানি হতে পারে। চুলকানি যদি কোন কারণে আপনার কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

নিপল থেকে দুধ জাতীয় তরল বের হওয়া: গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নিপল থেকে দুধের মত হলুদ ভাব সাদা বা সোনালী রংয়ের আঠালো তরল নিঃ স্ত্রী তো হতে পারে। এই তরলই হল শালদুধ। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে শালদুধ নিঃস্ত হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এটা শিশুর জন্মের জন্য আপনার শরীরের একটা প্রস্তুতি মাত্র।

এই শাল দুধ শিশুর শরীরের প্রয়োজনও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। শালদুধ নিঃসরণের ফলে আপনার অস্বস্তি হলে আপনি টিস্যু পেপার বা ব্রেস্ট প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

স্তনের শিরা দৃশ্যমান হওয়া: গর্ভাবস্থায় মূলত স্তন সহ দেহে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। এছাড়াও শরীরে হরমোনের মাত্রা ও বাড়ে। এগুলোর প্রভাবে মূলত শিরা গুলো বড় এবং দৃশ্যবান হয়। এগুলো স্তনের গায়ে বেগুনি বা, নীলচে রেখার মতো দেখা যায়। শিশু জন্মের পরে আস্তে আস্তে এগুলো নিজে থেকেই মিলিয়ে যায়।

স্তনের চাকা বা দলার মত অনুভব করা: গর্ভাবস্থায় স্তনে চাকা বা পিন্ডের মতো দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় সাধারণত স্তনে দুধ তৈরি শুরু হয়। এ সময় দুধ জমা হয়ে এরকম আকার ধারণ করতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। তবে এই চাকা বা পিন্ডের আকাশ যদি আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কখন থেকে এই পরিবর্তন দেখা যাবে

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার অনেক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এখন প্রশ্ন হল কখন থেকে এই পরিবর্তন দেখা যাবে? আসুন জেনে আসি গর্ভ অবস্থায় কখন থেকে এই পরিবর্তন দেখা যাবে সে সম্পর্কে-

সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে স্তনের শিরা গুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করে। তবে সবার ক্ষেত্রে যে একই রকম পরিবর্তন দেখা যাবে এমনটি নয়। একেক জনার শরীরে একেক রকম পরিবর্তন আসতে পারে। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথার কারণ

গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথার কারণ নিদিষ্ট করে বলা যায় না। এই ব্যথা নানা কারণে হয়ে থাকে এবং এটি খুবই সধারণ ও স্বাভাবিক একটি উপসর্গ। এই ব্যথা গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যা মূলত হয়ে থাকে গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং শারীরিক পরিবর্তনের কারনে। এই পরিবর্তন অস্বস্তি ও ব্যথ্যার অনুভূতি হয় এবং স্তনের আকার পরিবর্তিত হয়ে থাকে। নিম্নে গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথার কারণ গুলো উল্লেখ করা হলো-

হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অধিক পরিমানে ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং প্রোল্যাকটিন হরমোন বেড়ে যায়। সাধারণত এই হরমোন গুলো গর্ভবতী মায়ের বুকে দুধ তৈরীতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথা হয়। এছাড়া হরমোন পরিবর্তনের কারণে স্তনে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং স্তনের গ্রন্থি ও নালী গুলো বিকাশিত হয়। এই কারনেই স্তন ব্যথা হয়, যা আমরা বুক ব্যথা হিসেবে ধরে থাকি।

স্তনের টিস্যুর পরিবর্তন: গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক টিস্যুগুলো ধীরে ধীরে দুধ উৎপন্নকারী টিস্যুতে রুপান্তরিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে স্তনে অনেক ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।

স্তনের আকার বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থায় যেহেতু স্তনে দুধ উৎপন্ন হয়। সেহেতু স্তনের আকার আগের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পায়। এজন্য স্তনের ত্বক প্রসারিত হতে শুরু করে। যার ফলে স্তনে টান লাগতে শুরু করে। আর এই কারনেই বুক ব্যথা হয়ে থাকে।

অনুপযুক্ত ব্রা: যেহেতু গর্ভাবস্থায় স্তনের আকার বেড়ে যায়। সেহেতু পূর্বে ব্যবহিত ব্রা সঠিক মাপের বা সঠিকভাবে সাপোর্ট দিতে পারে না। এজন্য ও স্তন ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে বুক ব্যথা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ব্রার আকার পরিবর্তন করা উচিত।

গর্ভবতী অবস্থায় স্তনের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যে কেন এই পরিবর্তন? আসুন জেনে আসি শরীরে গর্ভাবস্থায় কেন এই পরিবর্তন গুলো লক্ষ্য করা যায়-

গর্ভাবস্থার প্রথম দিক থেকেই গর্ভবতী নারীর শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়তে থাকে। রক্তের সরবরাহ বাড়ার কারণে এর শিরা গুলো বাড়তে থাকে। এ সময় হরমোনের মাত্রা বাড়ে। রক্তের এই বাড়তি চাপ এবং হরমোনের তারতম্যের কারণে রক্তনালীর ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়। তাহলে শিরা গুলো কিছুটা ফুলে উঠে। এই শিরা গুলোই স্তনের ওপর বেগুনি বা নীলচে রেখার মতো দেখা যায়।

তবে স্তনের শিরা গুলো দৃশ্যমান হওয়ার পেছনে আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন- পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের(মা, বোন, খালা অথবা নানী) গর্ভকালীন সময়ে এরকম হয়ে থাকলে আপনারও গর্ভাবস্থায় এরকম হতে পারে। এছাড়াও স্তনের আকার বড় হলে এই শিরা গুলো দৃশ্যমান হয়। মন্ডর স ডিজিজ নামের এক বিরল যার ফলে চামড়ার নিচে শিরা গুলো প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হয়। যার ফলে স্তনের গায়ের শিরা গুলো দেখা যায়।

গর্ভাবস্থায় স্তনের যত্ন

শিশুর জন্মের পরপরই দুগ্ধ পানের প্রয়োজন হয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় স্তনের যত্ন নেওয়া খুব জরুরী। কিন্তু অধিকাংশ নারীরা এ বিষয়ে জানেনা। গর্ভবস্থায় স্তনের আকার, গঠন অনেকটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই এই অবস্থায় স্তনের যত্ন নেয় গুরুত্বপূর্ন। আসুন গর্ভাবস্থায় স্তনের যত্ন কিভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কে জানি-
গর্ভাবস্থায় স্তনের যত্ন
গর্ভাবস্থায় স্তন বৃদ্ধি পাবে, স্তনের শিরা গুলো দৃশ্যমান হবে এবং স্তনের ভোটার আশেপাশের রং গারো হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন আপনি আপনার স্তন ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। এগুলোর কোনোটি যদি আপনার কাছে বিপরীতমুখী মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরমর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের কথা মত ঔষধ সেবন বা জীবন যাপনে পরিবর্তন আনাতে হবে।

স্তনের হাইজিন এর উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। স্তনের নিপলে সাবান মাখা যাবে না। সাবান ব্যবহারের ফলে নেপল ফাটার প্রবণতা সৃষ্টি হয় এবং সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ে। যদি নিপল শুকনোভাব বা ফেটে যায় তাহলে হালকা ও নিরাপদ ল্যানোলিন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

এছাড়াও স্তন বড় হওয়ার কারণে স্তনের নিচের অংশে ঘাম জমা হতে পারে এবং আদ্রতার কারণে এখানে ছত্রাক বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই স্তনের নিচের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন মতেই ঘাম জমতে দেওয়া যাবেনা। যদি কোনভাবে ঘাম জমে যায় তাহলে তা সাথে সাথে মুছে ফেলতে হবে।
স্তনের স্বাভাবিক গঠন বা আকারে রাখতে আরামদায়ক ব্রা ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু গর্ভাবস্থায় স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় সে অনুযায়ী ব্রার সাইজ বাড়াতে হবে। আপনার ব্রা যেন আন্ডার আর্ম বা মিডলাইন বোলিং না করে পুরো স্তনকে আবদ্ধ রাখে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিপল এবং স্তনের টিস্যু যাদের সংকুচিত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

গোসল করার আগে নারকেল তেল এর মত প্রাকৃতিক তেল দিয়ে স্তন মালিশ করতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এই মালিশ যেন দুই মিনিটের বেশি না হয়। মালিশের স্টোকগুলি এমন হতে হবে যেন স্তনের বোটাতে সামনের দিকে এগিয়ে আসে যাতে শিশু জন্মের পর তার দুধ পান করতে অসুবিধা না হয়।

নিয়মিত স্বাভাবিক ব্যয়াম গুলো করতে পারেন। স্তনে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে এবং পেশির টান বজায় রাখতে দিনে অন্তত একবার হাত ও কাঁধের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে এমন ব্যয়াম কোন মতেই করা উচিত নয় যাতে আপনার শরীর অতিরিক্ত ঘেমে যায়। আপনার আপনার শরীরে বা গর্ভে থাকা সন্তানের উপর এর প্রভাব পরে।

গর্ভাবস্থায় স্তন কত দিন বাড়ে

গর্ভাবস্থায় স্তন কত দিন বাড়ে এ নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে। প্রথম দিক থেকেই গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন দেখা যায়। গর্ভাবস্থার স্তনের অনেক পরিবর্তন এ লক্ষ্য করা যায়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্তন বড় হতে থাকে।

যা পুরো গর্ভাবস্থায় জুড়ে বাড়তে থাকে। এছাড়াও গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নাভি বেরিয়ে আসতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত তা সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথা হওয়া কি স্বাভাবিক

গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথা হওয়া কি স্বাভাবিক এমন প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি, গর্ভাবস্থায় বুকে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি জীবনযাত্রার ও অনেক পরিবর্তন এ সময় ঘটে। এর পাশাপাশি শরীরে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। এসব কারণে বুকে ব্যথা অনেক সময় হয়ে থাকে।

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় অনেক সময় বদহজম এবং গ্যাস্টিকের সমস্যার কারনে বুকে ব্যাথা হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম একজন নারীর গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন কিভাবে হয় এবং কিভাবে এর যত্ন নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিষয়। এ সময় গর্ভবতী মহিলার বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পাশাপাশি সুষম খাবারও খাওয়া দরকার। যাতে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি নিশ্চিত হয়।

এতক্ষণ ধরে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যমূল এবং আপনার ভালোলাগে এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url