ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায়-ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয়
প্রিয় পাঠক, বর্তমানে বিভিন্ন রোগের মতো ভুলে যাওয়া সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আপনারা অনেকেই ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আবার ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয় সে সম্পর্কেও অনেকেই অবগত নন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ভুলে যাওয়া সমস্যার অপর নাম ডিমেনশিয়া (Dimentia) যা মস্তিষ্কের একটি রোগ। আজ আমরা আপনাদের সাথে ভুলে যাওয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় এবং ভুলে যাওয়ার রোগ কেন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা ভুলে যাওয়া রোগের নাম কি, ডিমেনশিয়া কি ভালো হয়,ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়া রোগের লক্ষণ, ডিমেনশিয়াল রোগের ঔষধ, অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগ, ভুলে যাওয়া রোগের খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভুলে যাওয়া রোগের নাম কি :
সাধারণত ভুলে যাওয়া রোগকে স্মৃতিভংশ বলে। এটি মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত একটি রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া (Dimentia) বলা হয়। তবে ডিমেনশিয়ার অনেক ধরনের রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ এবং পরিচিত ধরন আলঝেইমার ডিজিজ (Alzheimer,s Disease)। সাম্প্রতিক কোন ঘটনা বা কথা মনে না থাকা, একই প্রশ্ন বারবার করা, নিজের অবস্থান ভুলে যাওয়া অথবা পরিচিত মানুষকে চিনতে না পারা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।
ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয় :
বিভিন্ন কারণে ভুলে যাওয়া রোগ (Dimentia) হতে পারে। ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয় এবং ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই অবগত থাকা উচিত।আসুন ভুলে যাওয়ার রোগের বিশেষ উল্লেখযোগ্য কারণগুলো নিচে আলোচনা করা যাক।
- মস্তিষ্কের কোষ ক্ষয় হয়ে নিউরন শুকিয়ে গেলে সাধারণত ভুলে যাওয়া রোগ হয়।
- স্ট্রোক বা মাইক্রো স্ট্রোক এর কারণে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন না হলে ভুলে যাওয়া রোগ হয় বা ডিমেনশিয়া রোগ হয়।
- জেনেটিক বা বংশগত কারণে এই রোগ হয়। পরিবারে কারো যদি আলঝেইমার থেকে থাকে তাহলে আপনারও এর ঝুঁকি বেশি থাকে।
- কখনো মাথায় জোরে আঘাত পেলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সমস্যা হয়।
- ব্রেন টিউমার থেকে স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়া বা ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে।
- দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে নিউরনের ক্ষতি হয় এবং এ রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে ডিমেনশিয়া রোগ হয়। এছাড়াও
- থাইরয়েড হরমোনের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
- দীর্ঘদিন ধরে কোন ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই রোগ হতে পারে।
ডিমেনশিয়া কি ভাল হয় :
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই জানতে চান ডিমেনশিয়া কি ভাল হয় এবং ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় বা কি হতে পারে সে সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করব ডিমেনশিয়া রোগ ভালো হয় কিনা সে সম্পর্কে। ডিমেনশিয়া একেবারে নিরাময় করা যায় না। কিন্তু কিছু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই রোগের গতি ধীর করা যায়।
কিছু ওষুধ যেমন ডোনেপেজিল এ রোগের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাছাড়া মেডিফিকেশন এবং কিছু মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি রয়েছে যার মাধ্যমে ডিমেনশিয়া রোগের গতি কমানো যায়। কিন্তু এই রোগ একেবারে নিরাময় যোগ্য নয়।
তবে একেবারেই প্রাথমিক অবস্থায় যদি এই রোগ ধরা পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায় তাহলে রোগীর জীবনযাত্রার মান বজায় রাখা সহজ হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এই রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ধূমপান, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা এ রোগের ঝুঁকি কমায়। ডিমেনশিয়া পুরোপুরি ভালো না হলেও প্রাথমিক অবস্থায় নায়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শের সঠিক যত্ন ও পরিচালনার মাধ্যমে রোগীর জীবনযাত্রা অনেকটাই সহজ করা সম্ভব।
ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়া রোগের লক্ষণ :
ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়া রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে আপনি এই রোগ শনাক্ত করতে পারবেন। এর প্রাথমিক এবং গুরুতর কিছু লক্ষণ আছে যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- সাম্প্রতিক কথা বা ঘটনা ভুলে যাওয়া
- একই প্রশ্ন বারবার করা
- নিত্যদিনের সহজ কাজে বিভ্রান্তি
- ভাষাগত সমস্যা যেমন কথার মাঝে মাঝে শব্দ ও বাক্য খুঁজে না পাওয়া
- হঠাৎ মেজাজ খিটখিটে ও উদ্বেগ
- পরিচিত ব্যক্তিদের চিনতে না পারা
- রাতে ঘুম না হওয়া, অরুচি এবং অহেতুক সন্দেহ করা
- বর্তমান অবস্থান এবং সময় নির্ণয়ে সমস্যা
- চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়া
- সামাজিক কর্মকান্ডে অমনোযোগী এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে না মেশা
ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় :
ভুলে যাওয়ার সমস্যা বা স্মৃতিভংশ রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কার্যকরী উপায় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যত দ্রুত সম্ভব এই রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এ রোগের ক্ষতি অনেকটা এড়ানো যায়। ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় সমূহ নিজে আলোচনা করা হলোঃ
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। বিশেষ করে যে সকল ঔষধ মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক সংকেত পরিচালনার সাহায্য করে।
- শারীরিক চর্চা যেমন প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেলিং করা।
- নিয়মিত মানসিক চর্চা যেমন পাজেল, লুডু, সুডোকু, বই পড়া, গল্প লেখা, নতুন স্কিল শেখা ইত্যাদি।
- পর্যাপ্ত ঘুম প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। প্রচুর পানি করলে আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ই,ভিটামিন বি জাতীয় খাবার স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো।
- নিয়মিত পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো এবং সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের যোগদান করা।
- রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। তাই সবসময় এ সকল রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল স্নায়ু ধ্বংস করে স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে ফেলে। তাই ধুমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন।
- অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ আমাদের স্মৃতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, প্রার্থনা বা মন শান্ত রাখার ব্যায়াম সহ শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
- মাথায় জোরে আঘাত থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে হেলমেট ব্যবহার করা জরুরী।
- নিয়মিত রক্তচাপ,ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, ভিটামিন বি ১২ এর মাত্রা ইত্যাদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত আলোচনায় ভুলে যাও সমস্যা দূর করার উপায় সমূহ সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন। এবার আমরা ডিমেনশিয়া রোগের ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব।
ডিমেনশিয়াল রোগের ঔষধ :
ডিমেনশিয়া রোগে যে সকল ঔষধ ব্যবহৃত হয় এর প্রধান কাজ হল স্মৃতি শক্তি উন্নত করা, মস্তিষ্কের কোষ ক্ষয় রোধ করা এবং আচরণগত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় হিসেবে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে পারেন। ডিমেনশিয়া রোগের হালকা, মাঝারি এবং গুরুতর ঔষধ হিসেবে সাধারণত চিকিৎসকরা Donepezil (aricept), Rivastigmine(exelon),Galantamine(razadyne) ঔষধ দিয়ে থাকেন।
তাছাড়া মাঝারি থেকে গুরুতর ক্ষেত্রে Memantine (namenda) এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় যা মস্তিষ্কের কোষে অতিরিক্ত গুটামেটের ক্ষতিকর প্রভাব কমায় এবং কোষ ক্ষয় রোধ করে। তবে যে কোন ঔষধে নিজে নিজে সেবন করা উচিত নয়। ডিমেনশিয়া রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত।
কেননা সকল ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ডিমেনশিয়া রোগীর বয়স শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য রোগের অবস্থা দেখে ওষুধ নির্ধারণ করা হয়। তাই আপনি যদি ডিমেনশিয়া রোগী হয়ে থাকেন এবং ওষুধ সেবন করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ঔষধ সেবন করুন।
অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগ :
অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগকে সাধারণত (early memory loss) বলা হয়। তবে অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া নয়। মনে প্রশ্ন অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয়? এটির জন্য চিকিৎসকরা জিনগত কারণকে ও দায়ী করে থাকেন। সাধারণত ৬০ বছর বয়সের বেশি ব্যক্তিরা আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
তবে এটি যদি কম বয়সে হয় তাহলে কেউ উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটি হতে পারে মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন, পুষ্টিহীনতা, মাদক ও অ্যালকোহল, ঘুমের সমস্যা, থাইরয়েড ইত্যাদি কারণে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, মেডিটেশন, মানসিক স্ট্রেস কমানো, সুষম খাদ্য গ্রহণ,বই পড়া, নতুন স্কিল শেখা ইত্যাদি এই রোগের সমাধান হতে পারে।
আরো পড়ুন : ভিটামিন পি এর উৎস এবং কাজ সম্পর্কে জানুন।
তবে খেয়াল রাখতে হবে ভুলে যাওয়া সমস্যা যদি দিনে দিনে বেড়ে যায় এবং আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই অবগত থাকা উচিত। যথাযথ চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালু থাকলে অল্প বয়সে ভুলে যাওয়া রোগ এড়ানো সম্ভব।
ভুলে যাওয়া রোগের খাদ্য :
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা ভুলে যাওয়া রোগ কেন হয় বা কোন কোন খাবারে বা পুষ্টির অভাবে ভুলে যাওয়া রোগ হতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। ভুলে যাওয়া রোগের জন্য কিছু উপকারী খাদ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের কোষ মেরামতে সাহায্য করে। যেমন :সামুদ্রিক মাছ, আখরোট, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল ইত্যাদি।
তাছাড়া এন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমায় এবং স্মৃতি উন্নত করে। যেমন : বেড়ে জাতীয় ফল, ডার্ক চকলেট, সবুজ শাকসবজি, গাজর, বিটরুট, টমেটো ইত্যাদি। তাছাড়া ভিটামিন বি ১২, বি ৬, এবং ফোলেট জাতীয় খাবার মস্তিষ্কে স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্থিতি শক্তি উন্নত করে।
এ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, দুধ দুগ্ধ জাতীয় খাবার, মটরশুঁটি, ডাল, ছোলা, কলিজা, লিভার ইত্যাদি। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার বাদাম, আখরোট, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার এবং পানি পান করা উচিত।
পানি শূন্যতা মস্তিষ্ক ঘোলাটে ও স্মৃতি শূন্য করে দেয়। তাই প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন। তাছাড়া অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার, লবণ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
লেখকের মন্তব্য : ভূলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাও সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আমরা ভুলে যাওয়ার রোগ কেন হয় এবং এ রোগের লক্ষণ, ঔষধ, খাবার ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত একটি রোগ।
বর্তমানে কোন কথা বা ঘটনা ভুলে যাওয়া, পরিচিতদের চিনতে না পারা, একই প্রশ্ন বারবার করা ইত্যাদি রোগের লক্ষণ। এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে এই রোগ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমানো যায়। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আপনার বিশেষ কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url