বিট লবণের উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিট লবণের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। বিট লবণ বা কালো লবণ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়া বিট লবণের অপকারিতা ও রয়েছে সে সম্পর্কে ও আমরা আলোচনা করব। বিটলবণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা বিট লবণের উপকারিতা এবং বিট লবণের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া বিট লবণ খাওয়ার নিয়ম, বিট লবণ কিভাবে তৈরি হয়, বিট লবণ খেলে কি প্রেসার বাড়ে, বিট লবণ খেলে কি ওজন বাড়ে, গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যাবে কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
বিট লবণের উপকারিতাঃ
প্রিয় পাঠক, বিট লবণ আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। বিট লবণ বা ব্ল্যাক সল্ট একে আবার অনেকে সুলেমানি সলন নামেও চেনে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই বিট লবনের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। বিট লবণের প্রধান উপাদানের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম সালফেট।
তাছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, ফেরাস সালফেট, ফ্লুরাইড ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং খাবারের স্বাদ বাড়ায় যার ফলে আমরা বিভিন্ন খাবারে এই বিট লবণ ব্যবহার করে থাকি। এই বিট লবনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা।
আজ আমরা আলোচনার এই অংশে বিট লবণের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সাধারণ লবণ যে পরিমাণে ব্যবহার করি যে তুলনায় বিট লবণ খুবই কম খায়। কিন্তু এই বিট লবণ আমাদের শরীরের নানা উপকার করে থাকে। বিট লবণের খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলোঃ
- বিট লবণ আমাদের গ্যাস বা এসিডিটি এবং বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে
- বিট লবণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- বিট লবণ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
- ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিট লবণ বেশ উপকারী
- বিট লবণ খেলে হজম প্রক্রিয়া এবং পেটের নানা সমস্যার সমাধান হয়
- বিটলবণে বিদ্যমান এন্টি ব্যাকটেরিয়াল আমাদের শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কার্যকরী
- তাছাড়া বিট লবনের পুষ্টি এবং খনিজ আমাদের শরীরের হাড়ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে
- সর্দি কাশি বা ঠান্ডা জনিত সমস্যায় গরম পানিতে বিট লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে বিট লবণ বিশেষ ভূমিকা পালন করে
- বিট লবণ আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী, এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে
- নিয়মিত বিট লবণ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
যে কোন জিনিসের উপকারিতা পেতে হলে এর খাওয়ার নিয়ম এবং পরিমাণ জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। বিট লবনের ক্ষেত্রেও এর সঠিক পরিমাণ ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিতে হবে। এর মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনি যদি কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগেন তবে বিট লবণ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিট লবণের অপকারিতাঃ
বিট লবণের যেমন বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু খারাপ বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। বিট লবণ বা বিট নুন অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। এই লবণ অত্যন্ত মুখরোচক ও সুস্বাদু হওয়ায় মানুষ এর অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এ লবণের অতিরিক্ত ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৮ গ্রাম বিট লবণ খাওয়া যায় বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিট লবণে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুরাইড রয়েছে যা আমাদের হাড়,গ্রন্থী এবং জয়েন্টের জন্য ক্ষতিকর। সহনীয় মাত্রায় ফ্লুরাইড আমাদের শরীরের হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত ফ্লুরাইড শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
তাছাড়া মাত্র অতিরিক্ত ফ্লুরাইড আমাদের শরীরে গ্রহণ করলে রোগের সৃষ্টি হয় যার ফলে ওজন কমে যাওয়া, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চুল পড়ে যায় এবং শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে বিট লবণ খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া এখন বাজারে যে সকল বিট লবণ পাওয়া যায় তা মানসম্পন্ন নয় এবং আপনি যদি ভেজাল বিট লবণ কিনে খেয়ে থাকেন তাহলে এটা শরীরের জন্য বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত বিট লবণ খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয় যার জন্য শরীর দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং ওজন হ্রাস এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক, বিট লবণের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি বিট লবণের অপকারিতা ও রয়েছে যা এতক্ষণে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন। এবার আসুন, বিট লবণ কিভাবে তৈরি হয় সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিট লবণ কিভাবে তৈরি হয়ঃ
বিট লবণ কিভাবে তৈরি হয় সেই সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আজকে আমাদের এই আলোচনায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানাবো বিট লবণ কিভাবে তৈরি হয়। সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বিশেষ করে হিমালয়ের আশেপাশে এলাকাগুলোতে বিট লবণ পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন পি এর উৎস এবং কাজ সম্পর্কে জানুন।
যা মাটির নিচে পাথর আকারে থাকে সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই পাথর আকারে পাওয়া বিট লবণ গুলো পরিশুদ্ধির জন্য কারখানায় দেওয়া হয়। এবং পুরোপুরি মানসম্পন্ন উপায়ে পরিশুদ্ধ হওয়ার পর তা বাজারজাত করা হয়। এরপর এই বিট লবন সরাসরি খাওয়া যায় না।
অনেকে এই বিট লবণের সঙ্গে খানিকটা সাধারণ লবণ মিশিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিট লবণ তৈরি করে। যা বিভিন্ন খাবার সুস্বাদু করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই লবণের প্রধান উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং অল্প পরিমানে সোডিয়াম সালফেট।
তাছাড়া এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি উপাদানও রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তাছাড়া বিট লবণের উপকারিতা সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি। আশা করি, বিট লবণ কোথা থেকে আসে এবং কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, বিট লবণ খেলে কি ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
বিট লবণ খেলে কি ওজন বাড়েঃ
আপনারা অনেকেই জানতে চান বিট লবণ খেলে কি ওজন বাড়ে ? এই প্রশ্নের উত্তর হল না। বিট লবণ খেলে ওজন বাড়ে না বরং এটি ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। বিট লবণে বিদ্যমান এক ধরনের খনিজ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়ম মেনে বিট লবণ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে গরম পানিতে বিট লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত শুকনো বা পাতলা শরীরের অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে বিট লবণ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কেননা বিট লবণ খেলে ওজন বাড়ে না বরং শরীরের বাড়তি ওজন কমে। আশা করি, বিট লবণ খেলে কি ওজন বাড়ে কি না সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যাবে কি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যাবে কিঃ
গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খেলে কোন ক্ষতি হবে কিনা বা এটা নিরাপদ কিনা এটা জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা উপকারিতার পাশাপাশি বিট লবণের অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যেতে পারে তবে এটি খুবই পরিমাণ মতো খেতে হবে।
সাধারণত বিভিন্ন সালাত অথবা বাদামের সাথে যেটুকু বিট লবণ খায় আমরা সেভাবেই আপনি গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খেতে পারবেন। তবে আপনি যদি বিট লবণ অধিক পরিমাণে যেমন পানির সঙ্গে মিশিয়ে বা রান্নায় ব্যবহার করে খান তাহলে সেটা শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
কোন খাবারকে টেস্টি ও সুস্বাদু বানানোর জন্য যতটুকু পরিমাণ বিট লবণ প্রয়োজন ততটুকু আপনি গর্ব অবস্থায় খেতে পারবেন। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বিট লবণ খাওয়া যাবে কিন্তু তা সীমিত পরিমাণে। এবার আসুন, বিট লবণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিট লবণ খাওয়ার নিয়মঃ
আমরা অনেকেই বিট লবণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি। বিট লবণের উপকারিতা পেতে গেলে বিট লবণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। বিট লবণ বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্নভাবে আমরা ব্যবহার করে থাকি। শুধুমাত্র রান্নাই নয় এটি ফুচকা, চটপটি, সালাত, বাদাম, পানীয় বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাবারের টেস্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর শরবত অথবা যে কোন ফলের শরবতের সঙ্গে একটুখানি বিট লবণ মিশিয়ে দিলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আমরা অনেকেই সাধারণ লবনের জায়গায় বিট লবণ রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি। আবার আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান অথবা শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে সকালে হালকা গরম পানিতে পরিমাণ মতো বিট লবণ মিশিয়ে পান করুন। বিট লবণ পানি পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাছাড়া আমরা বিভিন্ন টক ফল খাওয়ার সময় সাধারণ লবণের বিপরীতে বিট লবণ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি। কেননা এটি যেমন মুখরোচক তেমনি উপকারী। তাছাড়া ছোট বাচ্চারা সাধারণত বাদাম খাওয়ার সময় বিট লবণ দিয়ে বাদাম খায় এটিও একটি ভালো উপায় বিট লবণ খাওয়ার। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের চাটনি ও বোরহানিতে বিট লবণের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
এক কথায় আপনি বিভিন্ন উপায়ে বিট লবন খেতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই পরিমাণ বুঝে খেতে হবে। কারণ কোন কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয়। আশা করি বিট লবন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এবার আসুন, বিট লবণ খেলে কি প্রেসার বাড়ে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিট লবণ খেলে কি প্রেসার বাড়েঃ
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই বিট লবণ খেলে কি প্রেসার বাড়ে নাকি কমে যায় সে সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। আজ আর্টিকেলের এই পর্বে বিট লবণ খেলে কি প্রেসার বাড়ে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। এ সম্পর্কে জানতে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ার অনুরোধ রইলো। সাধারণ মানুষের ধারণা বিট লবণে সাধারণ লবনের তুলনায় সোডিয়াম কম থাকে।
আর তাই এটি উচ্চ রক্তচাপ বা প্রেসার কমায়। সাধারণ লবণের তুলনায় এই লবণে সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকলেও এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগীদের জন্য সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তাই আপনি যদি ব্লাড প্রেসারের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে বিট লবন সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য সাধারন নুন অথবা বিট লবণ দুটোই ক্ষতিকর হতে পারে। তবে সাদা নুন খেলে যে হারে প্রেসার বাড়ে তার তুলনায় বিট লবণ খেলে প্রেসার বাড়ার হার কমে যায়। আর তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা সাদা নুনের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন তবে সাধারণ লবণের পরিবর্তে বিট লবণ সীমিত আকারে খেতে পারবেন।
লেখক এর শেষ কথাঃ বিট লবণের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিট লবণ কি এবং বিট লবণের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিট লবণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। তবে সেটা পরিমাণমতো খাওয়া এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের খাদ্যাভাসে বিভিন্নভাবে বিট লবণ সংযুক্ত করা হয়।
তাই বিট লবণের ব্যবহারের পাশাপাশি বিট লবণের অপকারিতা সম্পর্কে জানা নেওয়া উচিত। কেননা প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় বিট লবণ খেলে শরীরের নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকটা জিনিস খাওয়ার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সেই জিনিস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর বিশেষ কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আর আর ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url